লিকলিকে মেয়ে
ই ম রু ল কা য়ে স
লিকলিকে মেয়ে
তোমাকে ছাড়া এই অঝোর শ্রাবণ বড় একা একা লাগে।
কখনো ভাবিনি তুমি হতে পারো অবাধ্য আমার,
নিমেষেই সরে যেতে পারো দৃষ্টির ওপারে!
ভালোবাসা ছাড়া তোমাকে আর কী দিয়েছি উপহার!
কাঁটার আঘাত সয়ে গোলাপের ঘ্রাণ নিতে
তুমিই তো শিখিয়েছিলে প্রথম যৌবনে।
রক্তাক্ত হয়েছে, হৃদয় মায়াবী বিরহ-কাঁটায়।
পোড়া যৌবন মগজের ঘরোয়া মানচিত্রে
নিভৃতে এঁকেছিল তোমারই তো আল্পনা!
শুধু সামনেই এগিয়ে গেলে একা !
ডানে-বামে-পশ্চাতে তাকানোর সময়
তোমার কখনো কি হলো?
পড়েছো তো বিজ্ঞান, ব্যবহারিক ক্লাসে
হয় তো দেখেছো মাংশল হৃদপিণ্ড, দেখোনি হৃদয়!
একবারও তো বোঝোনি,
কবির হৃদরক্তেই লাল হয়েছে গোলাপের পাপড়ি।
অথচ সেই গোলাপই এখন কবিকে চেনে না!
এই ভেজা শ্রাবণে, অশ্রুপ্লাবনে, অহর্নিশ ভিজছি।
রাতভর বিৃষ্টিতে ভিজে গেলো দাঁড়কাক
ভিজে গেলে মানুষ, পশুপাখি, ধানক্ষেত
শুধু, ভিজলো না তোমার দ্যোদুল্যমান পাথর হৃদয়।
২৩ আগস্ট ২০০২ খ্রি.
খুলনা
No comments:
Post a Comment