অপেক্ষা
ই ম রু ল কা য়ে স
মাঘের হিমবাহ শেষে এলো ফাগুন, এলো বসন্ত
বসন্তের আগমনে পুষ্পে পুষ্পে ভরে গেলো বিষন্ন প্রকৃতি;
তবু, তুমি এলে না।
চৈত্রের দাবদাহ শেষে এলো বৈশাখ, এলো বর্ষা
বর্ষার সতেজতায় সবুজের আল্পনা আঁকা হলো;
পুষ্প-পল্লবহীন মায়াবৃক্ষে ফিরে এলো প্রমত্ত যৌবন
তবু, তুমি এলে না।
নবগঙ্গার টলমল জলে কিশোরী পা দু’টো ভিজালো না
শরৎ অপরাহ্নে নিঃষ্পাপ দু'টি ছায়া পাশাপাশি বসলো না
অনেকগুলো অভিমানী বছর নিঃষ্ফল ঝরে যাবার পর
সফেদ পাঞ্জাবি পরে আবার ফিরে এলো শূভ্র শরৎ।
কবিতা- তোমাকে এখন ভীষণ মনে পড়ছে!
গ্রীষ্ম গেলো, বর্ষা ফুরালো শীতের মতোই, এখন শরৎ।
যদি চাও দেখা হতে পারে নবগঙ্গা তীরে;
পুরনো সেই পাখি ডাকা, ফলে ঢাকা
স্মৃতিময় কাশফুলে ঠাসা, চেনা বালুচরে।