https://imrulkayesartgallery.blogspot.com/2025/06/blog-post.html

Friday, March 21, 2025

মধ্যরাতের চিমটি

 

মধ্যরাতের চিমটিি
ইমরুল কায়েস

মিষ্টি মেয়ে কেমন আছো?
ফেলে আসা দিনগুলো কি মনে পড়ে?

আমার এখন ব্যস্ত সকাল, দগ্ধ দুপুর, ক্লান্ত বিকেল, সন্ধ্যাবেলা
রাত্রি নামে আঁধার দোলায়, পাই না সময়
কেউ বলে না ভালোবাসার প্রজাপতির কেমন করে কাটছে বেলা।

মধ্যরাতে সবাই ঘুমায় নির্ভাবনায়
আমি একা ব্যথার নীলে কলম চষি
ক্লান্ত মগজ, ক্লান্ত কলম, পিটু্ইটারি বিকল যখন
ছোট্ট করে চিমটি কাটো স্মৃতির গায়ে তুমি তখন।

২৫ অক্টোবর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ
১০ কার্তিক ১৪১৯ বঙ্গাব্দ
খুলনা

আমি মৌ, তুমি মৌবনে ফুল

 

আমি মৌ, তুমি মৌবনে ফুল
ইমরুল কায়েস

ভেবেছি স্রোতস্বিনী নবগঙ্গা তীরে বাঁধবো ঘর
তোমাকে নিয়ে নিশ্চিন্তে সাজাবো সংসার
সারাদিন ফসলের ঘ্রাণ শুঁকে
সন্ধ্যার মলিন আলোয় দু’জনেই বাহুডোরে পড়বো বাঁধা,
এক ফাঁলি নরম রোদ্দুর ভোরে পরশ বুলাবে গায়।

বিদূষী নবগঙ্গার শীতল জলে ধুঁয়ে সব নীল অঙ্গার
সন্ধ্যার আলো মেখে ফিরে আসবো নীড়ে।

সরিষার ফুল ছিঁড়ে বানাবো অলঙ্কার তোমার নাকে কানে
উড়িয়ে মায়াবী চুল তুমি ছুটে যাবে মৌ মায়াটানে

আমি হবো মৌ, তুমি মৌবনে হবে ফুল
আমাদের নীড় ভরে যাবে গানে গানে।

১৯ অক্টোবর ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ
০৪ কার্তিক ১৪১৪ বঙ্গাব্দ
খুলনা

Thursday, March 20, 2025

প্রভাষিকা ০১


প্রভাষিকা ০১
ইমরুল কায়েস

বুকের ভিতোর  গরান কাঠের আগুন জ্বেলে
তুমি এখন বাইশ মাইল দূরে থাকো
অগ্নিশিখা দহন করে আমার শরীর
হৃদপিণ্ডে তবু তুমি মাঝে মধ্যেই চিমটি কাটো।

আমি এখন মধ্যরাতে কলম চষি
তুমি ঘুমাও নির্ভাবনায় বাহুডোরে
মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে চমকে উঠি
জাগি তোমার গৃহকাঁপা শীৎকারে।

শ্রেণি কক্ষে কবির লেখা কাব্য বোঝাও,
বোঝো কি তার গুঢ় অর্থ, মর্মকথা?
বুঝলে কি আর বাইশ মাইল দূরে থাকো
চিতার আগুন জ্বালার কি হয় স্বার্থকতা।

তুমি এখন ফুলতলাতে ভালোই আছো
নিত্য-নতুন স্বপ্ন তোমার ছড়াছড়ি,
স্মৃতিগুলো বস্তা ভরে আগুন জ্বেলে
আমিও এখন ভালো থাকার চেষ্টা করি।

২১ জুলাই ২০১১ খ্রিস্টাব্দ
০৫ শ্রাবণ ১৪১৮ বঙ্গাব্দ
খুলনা

প্রভাষিকা ০২

 

প্রভাষিকা ০২
ইমরুল কায়েস

খা খা চৈত্র, তপ্ত দুপুর, ব্যস্ত নূপুর, কাঁকনপরা হাত
নগ্ন নেশায় হাতছানি দেয় প্রিজারভেটিভ ভালোবাসা।

নাবিকের নৌযানে পাল তুলে ভেসে যায় প্রভাষিকা
হিমেল হাওয়ায় সুখের দোলায় দোলে জলাঙ্গির ঢেউ
দগ্ধ কবি শুধুই কবিতা লেখে অর্থ বোঝে না কেউ।

আকাশের সামিয়ানা কবির কষ্টে হলো নীল
কবিতার সাথে তবু প্রভাষিকার হলো না পরিচয়,
তালহারা জীবনে কবি এখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান কিছুই চায় না
রঙমহলে নেশার শারাব, ছেঁড়া ছেঁড়া ব্যথার পঙক্তিমালা।

২৩ আগস্ট ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ
০৮ ভাদ্র ১৪১২ বঙ্গাব্দ
খুলনা


Wednesday, March 19, 2025

অবুঝ রাখাল ও তার রক্তাক্ত স্বপ্ন

অবুঝ রাখাল ও তার রক্তাক্ত স্বপ্ন
ইমরুল কায়েস

এক স্বচ্ছল মধ্যবিত্তের বাড়ির আঙিনায় 
অনেক যত্নে গড়ে ওঠেছিল একটি ছোট্ট ফুল বাগান
দীর্ঘ সাক্ষাৎকার শেষে সেই বাগানের মালির দায়িত্ব 
দেওয়া হয় এক স্বপ্ন বিলাসী রাখালের উপর।
রাখাল মালির অক্লান্ত শ্রম আর তিল তিল ভালোবাসায়
দ্রুত বড় হয়ে উঠলো চারাগাছ।

বসন্তের প্রথম প্রহরে সেই চারাগাছে ফুটলো ফুল
ফুলের বর্ণে-গন্ধে-সৌন্দর্যে রাখাল হয়ে উঠলো ব্যাকুল।

মাঝে মাঝে সবার অজান্তে ফুলের ঘ্রাণ শুকতো সে
মালির উষ্ণ নিঃশ্বাসে দুলে উঠতো ফুলের কুমারী দেহ-মন
নির্জনে, নিঃসঙ্কোচে সেও মেলে দিত পাপড়ি।

একদিন এক অবাঞ্চিত দুঃসাহস বুকে নিয়ে
বাগানের মালিকের কাছে অবুঝ মালি চেয়ে বসলো-
সর্ব কনিষ্ঠ ও সুদৃশ্য, মায়াময় মোহনীয় ফুলটি।

মুহূর্তে রক্তাক্ত হলো রাখাল মালির অবুঝ স্বপ্ন।
চিরকালের জন্য তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হলো
মোহনীয় সেই  সুদৃশ্য ফুল ছোঁয়ার নিঃষ্পাপ অধিকার।

২৩ আগস্ট ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ
০৮ ভাদ্র ১৪১০ বঙ্গাব্দ
খুলনা।

 

Saturday, March 15, 2025

Biography of Poet Imrul Kayes

 

ইমরুল কায়েস 

Biography of Poet Imrul Kayes
Imrul Kayes was born on 1st January 1979 at Magura in the parental care of Md. Sirazul Islam and Halima Begum. He spends his childhood and boyhood in his native surroundings and left for Khulna, the third largest city of Bangladesh in 1993 for higher education. He has achieved his graduation and post graduation degree in English and now he holds the position of the Principal of Islamabad Collegiate School Khulna; a college of Khulna City Corporation.
 
He has been writing poems and songs since his boyhood. His eleven books, mostly poetry written in Bengali, have been published yet and his fame of a phenomenal poetic genius is well-known to all. The Verses of Tranquility which contains a total of fifty two English poems is his ninth publication. The poet deliberately deals with the theme of patriotism and love, characterized by both physical nature and eternality that exhibit a wonderful fusion of life and nature in his verses. His remarkable quality for becoming a poet is his profuse use of lyricism. Though his verses are modern in nature, they bear wonderful lyrical grace and a kind of rhythmic movement which has contributed to his poems a unique spontaneity.
 
The poet has an active participation with Bangladesh Television, Bangladesh Betar, Zella Shilpokala Academy, Khulna Shishu Hospital, Khulna Cultural Center, Khulna Sahitya Majlish, Magura, Family Planning Association of Bangladesh etc.

He has composed near about one thousand songs which have already tuned in Bangladesh Betar & Bangladesh Television. His songs and dramas have got much popularity among the people of both Bangladesh & West Bengal. He manages a YouTube Channel named Imrul Kayes Lyrical & a Literary Blog named Imrul Kayes Art Gallery.
 
His active involvement in social and cultural welfare and his work of educating the young pupils has made his literary career colorful and dignified.

At present, he is serving the nation as the Principal of Islamabad Collegiate School Khulna, an institution of Khulna City Corporation and living with a tiny happy family at Khulna city in Bangladesh. 

The Publications of Imrul Kayes:

Poetry: Bhalobashar Janmodine/Publisher:Khulna Sahitya Majlish/2003/Khulna
Poetry: Amar Jadi Thkto Dana/Publisher:Khulna Sahitya Majlish/2010/Khulna
Poetry: Chetonar Ful/Publisher:Khulna Sahitya Majlish/2011/Khulna
Lyrical Poetry: Geeti Shotodall/Publisher:Khulna Sahitya Majlish/2012/Khulna
Poetry: Mayabi Sandyar Awvan/Publisher:Khulna Sahitya Majlish/2014/Khulna

English Publication:
Thesis Work: R.K. Narayan's Raju: Guiding, Misguiding and Misguided/ Khulna Cultural Ceter/2014/Khulna
English Poetry: The Verses of Tranquility/Publisher:Kobi Prokasoni/2019/Dhaka

Poetry; Neel Prajapati/Publisher:Khulna Cultural Ceter/2016/Khulna
Lyrical Poetry: Kathar Parag/Publisher:Khulna Cultural Ceter/2018/Khulna
Poetry: Amar Prithibi/Publisher:Khulna Cultural Ceter/2021/Khulna
Poetry: Rubaiyat e Imrul Kayes/Publisher:Khulna Cultural Ceter/2025/Khulna (Yet to be Published)

Social Links:
https://www.youtube.com/@imrulkayeslyrical2598
https://imrulkayesartgallery.blogspot.com/
https://www.facebook.com/ImrulKayesAuthor

 



Shireen Abu Akleh

 

Shireen Abu Akleh
Imrul Kayes

How can we forget you, Shireen?
You were an Arabian harbinger.
A true voice of humanity, a clear protest from Jenin.
 
How can a bullet do remove your name from our minds;
From the history of humanistic journalism?
When you present the untold miseries of Palestine?
 
Your body was wrapped in the Palestine flag.
Your coffin was cladded in red
Thousands of Palestinians mourned for you with wet eyes.
Their outrages, cries and prayers made the procession dignified.
Your heroism made the world speechless;
Wafting like a snowy steam along the pale palm trees.
 
Your mighty pen and sharp lens
Told the untold story of Gaza, Jenin and Jerusalem
Was that the only fault you commit?
How unjust you received for your land and your profession?
Your sacrifice will tell the tale of Palestine.
 
Wake up, wake up the sleepy Arabians
Wake up to lay down the lives for homeland
And to get the right of your land.
She should be the last to pay.
 
Shireen Abu Akleh must be remembered
By the uncounted sorrowful faces now and the generation upcoming.
Shireen, you will live in our heart eternally.

20 May 2022
Khulna, Bangladesh.

Note: Shireen Abu Akleh was a journalist worked in Al Jazeera who was slain by Israeli solders in Jenin, Palestine while covering a crucial news for her channel. She was born in Jerusalem in 03 April 1971.


Friday, March 14, 2025

ইমরুল কায়েস এর রুবাই (৮১-১০০)


ইমরুল কায়েস এর রুবাই
রুবাই ৮১:
মনের মাঝে কা’বা শরীফ চোখের তারায় মদিনা
তোমার ধ্যাণে মগ্ন থেকে রোজ নেকী চাই বদি না
আলোর পথের যাত্রি আমি আলো খুঁজি আন্ধারে
তোমার ক্ষমায় সিক্ত করে পার করো এ বান্দারে।

রুবাই ৮২:
আর ডেকো না সুনয়না মধ্যরাতে তুমি আমায়
তোমার আমার গোপন প্রণয় রাষ্ট্র হবে পাড়ায় পাড়ায়
রক্তচক্ষু লোকলজ্জ্বায় তোমার পরশ যদি না পাই
নীল সাগরে মরবো ডুবে ব্যর্থ প্রেমের দহন জ্বালায়।

রুবাই ৮৩:
বোধি বৃক্ষ, হেরা গুহা আমার কিন্তু কোনোটাই নাই
তবু আমি তোমার ধ্যানে মগ্ন থাকার সুযোগ চাই
জানি আমার জিন্দেগীতে সঙ্গী শুধু ব্যস্ততা
দিনের শেষে জিন্দেগীতে তোমার আশীষ যেন পাই।


 

ইমরুল কায়েস এর রুবাই (৬১-৮০)

 


ইমরুল কায়েস এর রুবাই
রুবাই ৬১:
এক পেয়ালা শারাব দিও একটি দিও পানের খিলি
মিষ্টি ভালোবাসার সাথে জল-তরঙ্গ ঝিলিমিলি
গোলাপ রাঙা কপোল জুড়ে আঁকলে চুমোর আল্পনা
বলতে পারবে তোমার আমার ভালোবাসা গল্প না।

রুবাই ৬২:
চাইলে তুমি ভাবতে পারো করতে পারো সময় ক্ষেপন
আমি কিন্তু কলঙ্কের দাগ খ্যাতির পালে করছি লেপন
তোমায় ছাড়া বেঁচে থাকার অন্য কোনো উপায় কোথায়?
অক্সিজেনের সিলিন্ডারটা অন্য কাউকে দিতে চাই না।

রুবাই ৬৩: 
অভিনয়ে দক্ষ তুমি সহজে তাই টলবে না
মুখে বলো মিষ্টি কথায় শুকনো চিড়ে গলবে না
আমি কিন্তু ভাবনা ছাড়াই দিচ্ছি বলে ইচ্ছেটা
তোমায় ছাড়া জীবন আমার এক মুহূর্তও চলবে না।

রুবাই ৬৪:
এখন থেকে মৃত্যু অবধি সখি তুমি শুধুই আমার
মরার পরে জীবন পেলে সে জীবনেও তুমি আমার
এই অবস্থা আমার যখন তোমার ভাবার সুযোগ কোথায়?
কোথায় সুযোগ হ্যাঁ না বলার যখন আমি শুধুই তোমার।

রুবাই ৬৫:
বাল্যকালে আমার সাথে প্রজাপতি করতো খেলা
কেউ জানে না প্রজাপতির এখন কেমন কাটছে বেলা
আমার এখন ব্যস্ত সকাল, তপ্ত দুপুর, পাই না সময়
মনে পড়ে কেমন করে করছি তারে অবহেলা।





:


Thursday, March 13, 2025

ইমরুল কায়েস এর রুবাই (৪১-৬০)

 

ইমরুল কায়েস এর রুবাই
রুবাই ৪১:
সকাল বেলা ইচ্ছে হলো একটু ছুঁতে তোমার শরীর
বললে তুমি এখন না থাক একটা যখন বাজবে ঘড়ির
এখন তুমি বলছো আবার আজকে না থাক কালকে হবে
এমনি করেই ইচ্ছে আমার অবহেলায় ধুকতে রবে।

রুবাই ৪২:
সখি আমার শারাব নেশা উসকে দিয়ে যাসনে ফিরে
তুই যে আমার হৃদয় রাণী বুকের ছাতি দেখ না চিরে
তোর কপোলে আঁকবো চুমো, দিল শারাবী নেশার দোল
একটুখানি সদয় হয়ে এই নিশিতে হৃদয় খোল।

রুবাই ৪৩:
তোমার আমার মিলন বাসর কোথায়, কখন কেমন হবে
এ সব কথা কেউ জানে না জানলে সবাই সজাগ রবে
দেহের মিলন নাইবা হলো, হচ্ছে নিতুই মনের মিলন
তুমিই ইমার শেষ ঠিকানা দিবানিশি সুখের দোলন।

রুবাই ৪৪:
আমার বাড়ির গুলবাগিচায় তুমি সখি নিত্য এসো
গোলাপ কাঁটার দহন শেষে একটুখানি ভালোবেসো
তোমার আমার অভিসারে গাইবে পাখি, ফুটবে ফুল
দুষ্টুমিতে একটু না হয় নাড়িয়ে যেও কানের দুল।

রুবাই ৪৫:
তোমার চোখে দৃষ্টি রেখে আমার এ মন তৃপ্ত হলো
অমন করে না তাকিয়ে ঘোমটাখানি একটু খোলো
তুমি ছাড়া জীবন আমার মরুদ্যানে তিতির পাখি
দিবানিশি তোমার ধ্যানে মগ্ন থাকার উপায় বলো।

রুবাই ৪৬:
বাহির বলে বাইরে এসো ভিতোর বলে যেও না
অন্য কারো মন্ত্রমোহে নিষিদ্ধ ফল খেও না
বাইরে আমার গমন নিষেধ নিত্য শাসায় ভিতোরওয়ালা
কাকে বলি আমি যে ভাই ভালোবাসার ফেরিওয়ালা।

রুবাই ৪৭:
একটুখানি থাকলে দূরে মুখটা করো এমন ভারী
দেখলে লোকে বলতে পারে বছর খানেক অনাহারী
ঘেঁষলে কাছে থাকো দূরে দেখাও তোমার মেজাজ গরম
বলতে পারো কোন উপায়ে ভাঙবো তোমার লজ্জ্বা শরম।

রুবাই ৪৮:
কাজের মাঝে ডুবে আছি তবু তুমি ডাকতে পারো
ইচ্ছে হলে মুঠোফোনে লাইক, কমেন্ট ছুঁড়তে পারো
আমি না হয় মনভুলো এক কর্মপাগল ব্যস্ত ভ্রমর
তাই বলে কি তুমি শুধু অধীর হয়ে গুনবে প্রহর।

রুবাই ৪৯:
একটু আশা স্বপ্নে ভাসাছোট্ট নীড়ে কাছে আসা
একটু সুখের বাউড়ি বাতাস অশ্রুজলে কান্না হাসা
জানি আমার চাওয়া-পাওয়া জুড়েই আছো তুমি একা
এতো আশা ভালোবাসা অন্তরালে নীল হতাশা।

রুবাই ৫০:
সখি আমার গুলবাগিচায় কোন সে ভ্রমর ঘ্রাণ শুঁকে যায়
নির্ভাবনায়, নিঃসঙ্কোচে ইচ্ছে মতো চুম এঁকে যায়
বলতে পারিস তোরা তাকে আমারও তো সমাজ আছে
ইচ্ছে যখন মজলে এমন আমার যে ভাই জাত চলে যায়।

রুবাই ৫১: 
এক জীবনে আর কতোবার নামবো সখি তোর সাগরেে
আর কতোবার আঁকবো তোকে পঁয়ত্রিশোর্ধ বুক পাজরে
তুই তো আমার অস্থি-মজ্জ্বা, রক্ত-মাংশ বুঝতে পারিস
ইচ্ছে আমার জিন্দেগীটা পার করে দেই তোর আদরে।

রুবাই ৫২:
এখন আমার দু‘চোখ জুড়ে বসত করে চেনা কষ্ট
স্বপ্নগুলো চোখের কোণে যত্ন ছাড়া হলো নষ্ট
ইচ্ছেগুলো দগ্ধ হয়ে আঁধার ঘরে জ্বালে পিদিম
ভাবনা আমার ছন্দ ক্ষয়ে আঁধার ঠেলে লক্ষভ্রষ্ট।

রুবাই ৫৩:
আর ডেকো না আমায় সখি তুমি যে কি খেল দেখালে
খোঁপায় বুনে বাগান বিলাস ঠোঁটের গায়ে রঙ মাখালে
হরিণ চোখের পাপড়িগুলো এমন করে ডাকলো আমায়
তোমার পিছে চলছি ছুটে এমন খেলা কেন শিখালে।

রুবাই ৫৪:
একটুখানি সময় হবে বেলকোণিতে পাশে বসার
একটুখানি সময় হবে আঁধার রাতে পথচলার
পাশে বসার, সাথে চলার সময় যদি নাই-ই থাকে
তোমার আমার মিলন হবে জীবন নদীর কোন সে বাঁকে।

রুবাই ৫৫:
বিশ্ব জুড়ে প্রতাপশালী পাণ্ডাগুলো কাঁপছে ত্রাসে
বাদশাহ ফাহাদ, ট্রাম্প, ট্রুডোর দর্প থামায় যে ভাইরাসে
সে ভাইরাসের স্রষ্ঠা কতো শক্তিশালী ভাবতে পারো
ছাক্কা ঈমান আছে যাদের তারাই শুধু বলতে পারে।

রুবা্ই ৫৬:
ভুল করো না সতর্ক হও আর করো না এমন ভুল
বন্দি এখন মানবতা চড়তে হচ্ছে কঠিন শুল
পাপের ফর্দ স্মরণ করে বিবেকটাকে শুধরে নাও
না শোধরালে করোনাতে ঠুকতে পারে বিষের হুল।

রুবাই ৫৭:
যখন আমার সুদিন ছিল সবাই ছিল খাটের পাশে
ড্রইং রুমে হর-হামেশা বসতো আসর বারো মাসেে
এখন আমি ঘোর বিপদে ওরা সবাই গেলো কোথায়?
যখন পাশে কেউ না থাকে তোমায় যেন পাই গো পাশে।

রুবাই ৫৮:
একটি সময় ছায়ার মতো তুমি ছিলে আমার সাথী 
ইচ্ছে হলেই আসতে কাছে হর-হামেশা দিনে রাতি
এখন তুমি ব্যস্ত অনেক অন্য গ্রহে প্রদীপ জ্বালো
আমার ঘরে বঞ্চনা আর অবহেলার চড়ুইভাতি।

রুবাই ৫৯:
একটুখানি সরলে বসন লজ্জ্বা তোমার কীসের এতো
আমায় দেখে হোক না তোমার স্বর্ণচূড়া অবনত
তোমার শহর নগর বন্দর চোরাগলি সবই চেনা
রাজধানীটা করতে বিজয় ছুটছি আমি অবিরত। 

রুবাই ৬০:
আমি যখন তোমার সাথে সময় কাটাই নির্ভাবনায়
ঘন্টা নেড়ে বলে দিও কেউ না যেন ডাকে আমায়
সারাদিনের ক্লান্তিঝাড়া তোমার আমার অভিসারে
অনাহুত অকারণে কেউ না যেন মাথা ঘামায়।


চেতনায় কাজী নজরুল

  চেতনায় কাজী নজরুল ইমরুল কায়েস হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর, মানুষের মননে মননে বিদ্রোহের ঝঙ্কার তুলে কাঁপিয়ে দিয়েছিল যে আলোক বিচ্ছুরিত ক্ষণজন্...