ই ম রু ল কা য়ে স
খুলনা
বাড়ি নম্বর চুয়াল্লিশ
ই ম রু ল কা য়ে স
নীলগঞ্জের মেয়ে
ই ম রু ল কা য়ে স
পৌষের পড়ন্ত বিকেলে
মেঘের আঁচল ছিঁড়ে খসে পড়লো একফাঁলি সোনালি রোদ্দুর
আড়মোড়া ভেঙে ঘোমটা খুলে
খিলখিল করে হেসে উঠলো হলুদ সরিষার ক্ষেত।
দলবেঁধে ছুটে এলো ফেলে আসা স্মৃতির বহর
টেনে নিল অবসন্ন হৃদয়ের এক চিলতে শুষ্ক উঠোনে।
বহুদিন পর আকাশ হয়ে উঠলো গাঢ় নীল।
জলাসক্ত মেঘ, মেঘাসক্ত নীলাকাশ
আকাশের পাদদেশে অগোছালো লাজুক রোদ্দুর।
সেদিনের সেই সোনামাখা রৌদ্রের স্নান শেষে
স্বপ্নাতুর চোখ নিয়ে হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ালো
তুলনাহীন, উপমাহীন, আটপৌরে এক শহুরে মেয়ে।
ভীষণ অদ্ভুত সেই মিষ্টি মেয়ের মুখাবয়ব
প্রাচীন মিশরীয় বর্ণমালার মতো দুর্বোধ্য
তার অব্যক্ত অভিব্যক্তি, হরিণী দৃষ্টি।
টানা টানা দু’টি চোখ অব্যক্ত বিষ্ময়ে ভরা
বড় শান্ত, বড় মনোহর তার চলার ভঙ্গি
যেন অতল সমুদ্রের সন্ধানে
ধাবমান কুমারী পাহাড়ি ঝর্ণা এক।
ভালো থাকুক নীলগঞ্জ।
ভালো থাকুক নীলগঞ্জের দুরন্ত কিশোরীরা।
২৫ ডিসেম্বর ২০০৫ খ্রি.
নড়াইল
![]() |
ফারহিম আনজুম সোহানা |
আমার মনটা ছুটে যায়রে আমার প্রাণটা ছুটে যায়রে পাখি-ডাকা, ছায়া-ঘেরা ছোট্ট সোনার গায়রে... আঁকাবাঁকা মেঠোপথে ফেলে আসা স্মৃতি রোজ বিকেলে খেলা করে মাটির সাথে প্রীতি মাঠে মাঠে সোনার ফসল বল্ না কোথায় পাইরে। মাঠে-ঘাটে জারী-সারী ভাটিয়ালী গানে পাগল করে দেয় আমারে সুরের মায়াটানে পথে পথে গায়ের বাউল প্রাণের কথা কয়রে।
চেতনায় কাজী নজরুল ইমরুল কায়েস হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর, মানুষের মননে মননে বিদ্রোহের ঝঙ্কার তুলে কাঁপিয়ে দিয়েছিল যে আলোক বিচ্ছুরিত ক্ষণজন্...