রবীঠাকুরের জন্মদিন
ইমরুল কায়েস
ইমরুল কায়েস
মননে, চলনে, স্বপনে ও কথনে শুধুই অস্থিরতা
একমুঠো শান্তির অন্বেষায় দিগ্বিদিক ছুটছি সবাই।
অথচ আমরা কেউ জানি না,
শান্তির আসল ঠিকানা কোথায়!
কোনখানে, কীভাবে পাওয়া যাবে মায়াবী শান্তিকে?
গ্রীষ্মের খররৌদ্রে, প্রচণ্ড দাবদাহে, কবিগুরু
তুমিই বিশুদ্ধ ঝর্ণাধারা; ভিতোরে বাহিরে
আপাদমস্তক খাঁটি বাঙালি, অখণ্ড কবিসত্ত্বা;
অস্থির অসুন্দরের মাঝে তুমি শান্তির পুজারি এক।
ফুল, পাখি ও নিঃস্বর্গের মাঝে, সকাল-সাঁঝে
শুধু, তোমাকেই খুঁজেফিরি, হে কবিগুরু।
চিরায়ত সুন্দরের সন্ধানে তুমি ক্লান্তিহীন অভিযাত্রি,
একফাঁলি স্বেত-শুভ্র মেঘমালা; অবিস্মৃত স্মৃতির বাতিঘর।
তুমি কবি, তুমি রবীন্দ্রনাথ; বাঙালির বিশ্বকবি;
পৃথিবীর মসনদে বাঙলাকে তুমি করে গেছো মহীয়ান
প্রেম ও বিরহে তুমি মিলনের মহাকাব্য।
গ্রীষ্মের পড়ন্ত বিকেলে, বিষন্ন বেলকনি জুড়ে
তোমারই কাব্যদর্শন মৌ মৌ গন্ধ ছড়ায়।
ঠাকুর বাড়ির উঠোনে এখন অজস্র তরুণ ভক্ত,
রবীন্দ্রসদন জনতামুখর, সুরঞ্জলি শান্তিনিকেতনে
অসংখ্য মৃনালিনী আজ ভীষণ ব্যাকুল
শুধু, তোমাকে শুভেচ্ছা জানাতে।
রবীতিথির শুভাগমন জেনেই
হাসনাহেনা এবার কিছুটা আগাম ফুটেছে।
তুমি কবিদের কবি, প্রদীপ্ত রবি
ভোরের রোদের মতো শান্ত পায়ে মননে আসো,
পরিচিত স্মৃতি হয়ে আনমনে তুমি হৃদয়ে বসো,
তুমি রোদেলা দুপুরে এক পশলা শান্তির পরশ।
যারা শান্তির অন্বেষায় দিগ্বিদিক ছুটছে এখন
তারা কেন যে তোমাকে খোঁজে না, আমি জানি না!
শুধু জানি, ভালোবাসা ছাড়া কোনো যোগ্য উপহার
এই বৈশাখে তোমার জন্য খুঁজে পেলাম না।
শুভ জন্মদিন, কবিগুরু
তোমার জন্য অজস্র ভালোবাসা;
বিনম্র শ্রদ্ধার নীলখাম চিঠি পাঠালাম...